The evidences of climate change in Bangladesh are very cleared! We have prominent six seasons before, but presently, we only experience three….
Setu: We work in grassroots level. We realize, the suffering of people for changing climate. We have faced a number of cyclones like, SIDR, Nargis, Reshmi, Bijlee and Aila! The danger & suffering are linked with climate change. Ten to twenty years before, people’s life and environment were not such type. Presently from coastal belt, people are migrating to northern area to save their life and livelihood. Sea level is rising and salinity has been increased abruptly and have destroyed the agriculture system, eco-system. Human bodies are now frequently attacked by various diseases.
Siraj: Storm, cyclone, sea level rising; beside these, what type affects are you observing in this Khulna zone ?
Setu: Drinking water crisis very serious! Water aquifer system has been distorted in coastal area. Here, maximum water layers are affected with salinity infusion. So source of drinking water is becoming limited! Nowadays, shrimp cultivation are facing critical crisis for salinity. Tree become week. First time, we thought, because of germ and diseases its happening! Actually it is happening for climate change specially for salinity increase, non-seasonal sudden rain, change of temperature etc. You know, people of this area depend on shrimp cultivation. So this will bring curse of this areas people if we can not stop and or reduce the affects. However we must have to find the way of adaptation to save life and environment.
Siraj: Do you think, the increasing salinity is linked with the sea level rising?
Setu: It may linked, but this is true sea level rising is one of the most reasons for salinity increase in land!
Siraj: What type affects has been happen in the world heritage Sundarbon during the storm like SIDR, Nargis, Bijli and Aila ?
Setu: In Sundarbon serious danger has been happen! It is said, the loss of Sundarbon can’t be make up with the coming 400 years also. During SIDR, huge number of trees and wild animal killed. You know, Sundarbon is one of the biggest mangrove forest of the world. Because of sea water level rising, mangrove trees will for face for existence, as a result if mangrove distroy, Sundarbon would be destroied!
Siraj:The grassroot people who doesn’t know about climate change, global justice, ozone level, how do they treat causes and situation?
Setu:People of coastal area can’t understand about climate change, especially the rural poor whose life mostly affected. Previously people does not face present type disaster and terminology. Now they face frequently. However they suffer & look the way to migrated in town and or a better places for life and livelihoods.
You know, people’s income source is getting limited. Poor is becoming more poor. It is now talking, within 30-40 years, most of coastal people may would be bound to migrate another place if present way climate change affects continue in this area. Then, Bangladesh also will face a danger. From now and today, we have to find way and take step to face the climate change effectively.
The evidences of climate change in Bangladesh are very cleared! Before we have prominent six seasons, but now we can understand only three. The duration of winter also has been decreased ! We feel cold only for 15-20 days which was before 2-3 months. Infect, cold season has been decreases and hot has been increased into 8-9 month. This is the impact of climate change. On the other hand, if we observe bio-diversities, we can easily understand, it would be difficult to save wild animal life, if climate change don’t stop and or effective climate change adaptations don’t initiated effectively.
সেতু, খুলনা
আমরা রোট লেবেলে কাজ করি। আমরা দেখি, কাইমেট চেন্জ এর ফলাফল গুলো কিন্তু আমরা এ অনঞ্চলের লোকজন ভোগ করতে শুরু করে দিয়েছি। কিভাবে কাইমেট চেন্জ এর প্রভাব গুলো কিন্তু ইতিমধ্যে চলতছে। আমরা দেখতেছি যে , বিগত সময়ে বা সিডরের পর থেকে যদি ধরি,সিডরের পরপরই আমরা দেখলাম যে, নার্গিস, রেশমি, বিজলি, সর্বশেষ এই আইলা, এগুলোর মানুষকে বড় মানবেতর ভাবে জীবন যাপনের দিকে ঠেলে দিছে। এটা আমরা মনে করতেছি যে, এটা কাইমেট চেন্জ এর একটা ইমপেক্ট। এ ছাড়া পাশাপাশি আরো কিছু কারণ ও ফলাফল আছে। আমরা যদি পর্যালোচনা করি, তবে দেখবো যে, এগুলো অবশ্যই কাইমেট চেন্জ এর কারনে ঘটতেছে। ১০ বা ২০ বছর আগে এ অঞ্চলের লোকজন এভাবে জীবন যাপনের সঙ্গে অভ্যস্থ ছিলো না । অতি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আইলার ঘটনা যদি আমরা দেখি, এখানে উপকূল অঞ্চলে প্রায় ৬টা উপজেলার ৪ টা ইউনিয়ন থেকে সম্পূর্ন লোক সরে আসতে বাধ্য হইছে। এখন কিন্তু পানির যে উচ্চতা বাড়ছে, এখন বার বার কিন্তু বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হতো না। তারা এর আগে এতটা পানির স্রোত কখনো দেখেনি। এছাড়া আমরা কিন্তু এগ্রিকালচার যদি দেখি সেখানে আগে এগ্রিকালচারে যে ধরনের ফসল হইতো, এখন এগ্রিকালচারে সে ধরনের ফসল হচ্ছে না। আগে এগ্রিকালচারে যে ধরনের রোগ হইতো , এখন সে ধরনের রোগের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে ।
সিরাজ:ঝড়-ঝাপটা, যেমন হঠাৎ করে জলোচ্ছাস বা পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে , এ ছাড়াও খুলনায় অঞ্চলে কি ধরনের জলবায়ু পরিবর্তন আপনি লক্ষ্য করছেন ?
সেতু: এখানে সাধারণত এই উপকুলীয় এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা সবসময় থাকে। পানির একটা লেয়ার আছে। এখানে পানি ও লবনাক্ততা সঠিক ছিল। এর আগে মানুষ পিএসএফ এর পানি খাইতো। কিন্তু আস্তে আস্তে মিষ্টি পানির যে সঠিক লেয়ার, সেটা কিন্তু আসলে আর পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে পানীয় জলের সোর্সটা কিন্তু এখানে কমে গেছে। পাশাপাশি আমরা দেখছি, চিংড়ি শিল্পও হুমকির মুখে পড়েছে। সেখানে আগে কিন্তু হঠাৎ করে বর্ষা হতো না। আপনারা জানেন যে, স্যালাইনিটি যখন হয়,তখন কিন্তু স্যালাইনিটির সঙ্গে হঠাৎ করে বর্ষাও হয়। এই যে মানুষের চিংড়ি মারা যাচ্ছে। এটা মানুষ বলছে ভাইরাস। হঠাৎ করে দেখা যাচ্ছে, চিংড়ি স্যালাইনিটির কারনে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারনে মারা যাচ্ছে। কিন্তু এই মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোভাবে চিংড়ি চাষের উপর নির্ভরশীল। দেখেন সকালবেলা যে লোক ভ্যান চালায়, তারও ওখানে যদি ২ জন ফরিয়া না উঠে ,তাহলে তার আয় হবে না। আবার ওই ফরিয়া কোথা থেকে আসবে, নি:সন্দেহে চিংড়ি চাষই নিয়েই আসবে। সুতরাং তার জীবিকা কিন্তু ওই চিংড়ির সঙ্গেই জরিত। আজকে চিংড়িটাও প্রায় ধ্বংসের মুখে। এটা আগে ভালো ছিল, কিন্তু ৭০ দশকের পর থেকে চিংড়ি আমরা আগের মতো সঠিকভাবে করতে পারছি না। এখন চিংড়ি তেমন ভালোভাবে চাষ করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি লবনাক্ততা যেভাবে বাড়তেছে, তাতে ভালোভাবে চাষ করা কষ্টসাধ্য হবে। লবনাক্ততার ফলে আমাদের ফসল ভালো ভাবে হচ্ছে না, বা আমাদের ফসল সহজে নষ্ট হয়ে যায়।
সিরাজ: এই যে,লবনাক্ততা বাড়তেছে ,এটাকে কি সি লেবেল রাইজিং এর সাথে তুলনা করবেন না কি ?
সেতু: হ্যা, আমি লবনাক্ততা বাড়াটা সমুদ্রতলপৃষ্ট উচ্চুহবার সঙ্গে সম্পর্কিত মনে করি। আপনার জানেন, সমুদ্রতলপৃষ্ট বেড়ে গেলে লবনাক্ততার পরিমান ৩৩-৩৫ পিপিপি হয়ে থাকে। এ অঞ্চলে সে পরিমানই দেথা যায়। সমুদ্রতলপৃষ্ট বাড়ার কারনে সমুদ্রের নোনা পানি ডাঙ্গার দিকে এগুচ্ছে । দেখেন, এ অঞ্চলের পানির স্তর গুলোতে এখন মাত্রারিক্ত পরিমান লবনের পরিমান পাওয়া যায়। চারিপাশে লবন পানি ঢুকে গেছে। একটা নিদ্দিষ্ট সময়ের পর খাবার পানি হয়তো এ অঞ্চলে আর পাওয়াই যাবে না। যারা চিংড়ি চাষ করেছে, আমরা তাদেরকে দুষারোপ করেছি, তারা বাধ কেটে, সুইস গেটের মাধ্যমে অপরিকল্পিতভাবে চিংড়ি চাষ করেছে,এর ফলে লবনাক্ততা বাড়তেছে। কিন্তু আসলে, চিংড়ি চাষ না হলেও মানুষ কি লবনাক্ততা ঠেকাইতে পারবে না।
সিরাজ:আচ্ছা গত বছর নার্গিস হইলো, আগের বছর সিডর হইলো, বিজলি হইলো, আইলা হ্ইলো , এতে ওয়াল্ড হরিটেজ সুন্দর বনের উপর কি প্রভাব পড়েছে ?
সেতু: আমরা সংগ্রাম করছি। বিগত সিডরে সময় সুন্দরবনের যে ক্ষতি হয়েছে , তা আগামী ৪০০ বছরেও পূরণ করা সম্ভব না। পাশাপাশি কয়েকটি প্রলয়ংকারী ঝড় হওয়ার পাশাপাশি টাইডাল চার্জটা হওয়ার কারনে অনেক হরিণ মারা গেছে। কয়েক হাজারের উপর হরিণ নানান প্রজাতির সাপ ও জীবজন্তু উপকূলে ভেসে থাকতে দেখা গেছে। এখণ তো এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে সাপ। আমি দাকোপে দেখেছি, কয়রায় দেখছি, শরনখোলায় দেখছি, সাপগুলো সুন্দর বন থেকে ভেসে ভেসে এ অঞ্চলে আসতেছে। এই যে আমাদের বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভফরেস্ট এটাও কিন্তু ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে। জোয়ার ভাটার পানি উঠানামা ঠিক আছে, কিন্তু সুমদ্র তলপৃষ্ট উপরে উঠার কারণে সবসময় যদি পানি থাকে তাহলে শ্বাসমুলগুলো আর শ্বাস নিতে পারো না, ফলে গাছ মরে যায়। সুন্দরবনের সুন্দরী গাছ যদি মরে যায়, সুন্দর বনতো আর থাকবে না। কারন সুন্দরবনে ম্যাগ্রোভ প্রজাতির স্পেসিসগুলো সবচেয়ে বেশি। তাই নিউমেটো ফোর এর উপর যখন পানি উঠবে , তখন কিন্তু সেটা আলট্রিমেটলি তাদের সালোকসংশ্লেষন বা জৈবিক প্রক্রিয়া মারাত্নক ভাবে ব্যহত হবে। এবং এই সুন্দরবন ধ্বংস হতে বাধ্য।
সিরাজ: এ অঞ্চলের কৃষক,বা যে সব মানুষ যারা জলবায়ু পরিবর্তন সসম্পকের্ জানে না, গ্লোবাল জাস্টিস বোঝে না, ওজোন স্তর বোঝে না, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে তাদের ধারনা কি? তারা কিভাবে অভিযোজন করছে?
সেতু: উপকূল অঞ্চলের মানুষ আসলে এগুলো বুঝে না, তাদের বোঝার কথাও না। তারা এতটা বোঝবেও না, কিন্তু তারা বিগত ২০ বছর বা ২৫ বছর আগের কথা থেকে আমরা বুঝেছি, তারা এ ধরনের দুর্যোগের সঙ্গে পরিচিত ছিল না। কিন্তু এখন তার মোকাবেলা করছে, সাথে সাথে অনেকে মাইগ্রেটও করছে। কয়রায় দেখেন, বেত কাশি দেখেন, মহেশ্বরীপুর দেখেন, মহারাজপুর দেখেন, সেখান থেকে অনেক লোক কিন্তু শহরের দিকে চলে গেছে। তারা আস্তে আস্তে যেয়ে কিন্তু শহরের জ্যাম বাড়াচ্ছে। পাশাপাশি যারা এ অঞ্চলে আছে , তারা কিন্তু এখানে কোন কাজও করতে পারছে না। সুতরাং তারা কিভাবে বাঁচবে। এখন খুবই ক্রাইসিস মোমেন্ট এর ভিতরের মধ্যে তারা আছে। কিন্তু তারপরও আমরা মনে করি, সমন্বিত প্রয়াস, সমন্বিত উদ্যোগ থাকলে এধরনের ডিজএস্টার মোকাবেলা করা সম্ভব। আরো ৪০ বছর পর সম্ভবত: এ এলাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে, যারা আছে তারও হয়তো থাকতে পারবে না। এধরনের কথা কিন্তু আমরা স্বপ্নেও কখনো চিন্তা করি না। কিন্তু সম্ভবত হবে্। আমাদেরকে এখানে থাকতেই হবে। বিকল্প উপায় আমাদেরকে বেছে নিতে হবে।
এখনই যদি এই সমন্বিত উদ্যোগ না নেওয়া যায়, তাহলে হয়তো আগামী ৪০ বছর বা ৩০ বছর পর ব্যাপক আকারে মাইগ্রেশন ঘটবে। সারা বাংলাদেশের উপর একটা চাপ পড়বে। গোটা বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবতিত হচ্ছে। আগে আমরা দেখছি মৌসুমি বায়ু, ছয় ঋতুর বাংলাদেশ। এখন কিন্তু আর ছয় ঋতুর বাংলাদেশ নাই। আমরা এখন দেখতে পাই, গরম, বর্ষা আর হচ্ছে শীত। এবং শীতের পরিমানও কমে গেছে। এখন শীত মাএ পনেরদিন কিংবা বিশদিন এই রকম স্থায়ী হয়। খুব বড় আকারের শীত দেখা যায় না। কিন্তু গরমের মাত্রা কিন্তু বেড়ে গেছে। দেশটা কিন্তু আস্তে আস্তে উষ্নতার দিকে এগুচ্ছে। এখন বর্ষা হচ্ছে কিন্তু তারপরও গরম বাড়ছে। সুতরাং এখন বর্ষা এবং গরম এবং গরমের সিজনটা ৮-৯ মাস ব্যাপি হয়ে গেছে। সুতরাং কাইমেট চেন্জ এর যে ইমপেক্ট, এটা কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি । পাশাপাশি জৈববচিত্র্যও কিন্তু হুমকির মুখে, অনেক জাতের প্রানী আজ ধ্বংসের পথে।