I have lost all my crops, house and assets…
It was heavy rain with storm! I saw fire flames in the river. I thought, there was an electric fire in Bagarhat! After I have got confirmed, it was sparking of saline water wave in the river! People had said, just after that firing, the high water wave came! After SIDR on Thursday, I had come from Bhagarhat by walking and seen many dead bodies on the road! The roadside tree was broken catastrophically by storm! The houses were mashed up! Crop was destroyed! All were massacred, finished!
After arrival in home, I saw, my houses submerged by saline water and covered by water hyacinth! High speed water current was moving down to river! I could not identify neighbors’ houses as plain land and river became one! With assumption, I moved around and find the cyclone center! In the house, there were nothing! I got confused in horror circumstance! I could not understand whether I should take care of injured people or cry! I had lost words! I was too shocked! Whenever people had come out from cyclone shelter, there was no food. Whenever we had got something, we have share with each other and eaten together!
The people with food stock, gave and shared with us cordially! From around country, many people came and helped us with food, medicine. Such way we had passed a number of days. There were no fruit in the tree, all were finished! On the way coming from Bagerhat, the roads were blocked with broken trees! Military came and cleaned the road so that vehicle could move smoothly! However, I had arrived around 4 PM in Morolgonj after long walk!
I had seen several dead bodies lying down in the road! Tree and road were seriously damaged! After ‘Tafal Bari’ ( place name), I had seen many dead bodies together ! River bank and house were become one with water level!
As the SIDR was happened in daytime, many people’s lives were saved, but if it was happened in night – nobody would be able to alive! We thought, it perhaps our last day of life ! God’s blessing, I am still alive!
রহিম শেখ, একজন আক্রান্ত কৃষক
খুব ঝড় আর বর্ষা, আর নদীর দিকে দেখছি আগুনের ঝলকির মতো। এইটা দেখার পর আমরা মনে করছি,বাগেরহটে কারেন্টের আগুন লাগছে। পরে শুনি যে, নদীতে আগুনের ঝলকির মতো দেখা যায়। এই ঝলকার মতো দেখার সাথে সাথে পানির স্রোতটা চইলা আইছে, এইডা শুনছি আর কি। হেরপর বৃহস্পতিবার দিন গতরাতে সিডর হইছে। আমি সেইদিন সকালে বাগেরহাট থেকে হাইটা আইসা দেখি, এলাকার বহু জায়গায়, লাশ আর লাশ। গাছ-গাছরা, ঘর-ঠর ভাইঙ্গা সমস্ত চৌচির হয়ে গেছে। আমি মনে করেছি যে এলাকায় আর কোন কিছু নেই। সব ফিনিস হয়ে গেছে।
বাড়িতে আসছি রাস্তায় দেখি কচুরিপানা, ঘর বাড়ী একবারে ডাইকা গেছে। জায়গায় জায়গায় রাস্তা দিয়ে পানির স্রোত নামতেছে। তারপর বাড়িতে আইহা দেখি, বোঝা যায় না, কোন বাড়ি কার! আন্দাজে খুঁজতে খুঁজতে পরে সাইক্নোন সেন্টারে যাইয়া দেহি অনেক লোক। পরে বাড়িতে চইলা আইছি, দেখি ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে গেছে এবং গরু-বাছুর, হাস মুরগি, গাছপালা সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। বলার মতো কোনকিছু নাই। লোকজনকে সমাদর করুম, না খুজুম, না চোখের পানি ফেলুম কিছুই বুঝতে পারছি না। এরপর কোন উক্তি আমাদের ছিলো রা। এত আশ্চর্য হয়ে গেছি। এরপর দেহি লোকজন আস্তে আস্তে বের হয়ে আসছে। খাবার তো নাই। যেখানে যা পাওয়া যেত, তা সবাই মিলে-মিশে খেতাম।
যাদের কাছে খাবার ছিল তারা খাবার দিত। অনেক দুর থেকে লোকজন ওষধ, পানি কিনে পাঠাইয়ে দিত। এভাবে কয়েকদিন চলে। গাছের যে ডাব-নারিকেল পেরে খাবো তাও ছিলো না। আমি বাগেরহাট থেকে হেটে আসার সময় দেখি, রাস্তায় গাছপালা পড়ে ভেঙ্গে আটকে গেছে। আর্মি বাইর হয়ে পাবলিককে বলছে , গাছগুলো একটু সরিয়ে দিতে, রাস্তা যাতে পরিষ্কার হয়। যাতে আমরা গাড়ি ছাড়াইয়া যাইতে পারি। লোকজন মিলেমিশে গাছ-ছাড়াই, কাটাই করে পরিষ্কার করে দেছে। গাড়ি মোড়লগনঞ্জ আইছে বিকাল ৪ টার সময় । এর আগে আমি ওই জায়গা দিয়া হাইটা নাইমা আইছি। আগাছের উপার দিয়া আইছি, নিচ দিয়া আইছি। এভাবে চইলা আইতে আইতে চারটা চল্লিশে আইছি মোড়লগঞ্জ।
রাস্তায় দুএক জন কইরা মরা মানুষ দেখছি। গাছ-ভাঙ্গা টাঙ্গা ও পানি দেখছি। খুব কষ্ট করে বাড়ী আইছি । রানদা আইছি, বিবস্ত্র অবস্থায় লোকজন পইড়া থাকতে দেখছি । দেখি লোকজন একটু একটু কথা বলাবলি, চলা-ফেরা করতাছে। তাফালবাড়ি এপারে আইছি পরে দেখি, রাস্তার পাশে, এখানে ওখানে, মাঠে-ঘাটে লোকজন টাইনা লাশ শুয়াইয়াই শুয়াইয়াই রাখছে কতক মানুষ । আর তাছাড়া কতেক জায়গায় , বন্যায় মানুষ মইরা পড়ে আছে। মরা দেখতে দেখতে বাড়ি আইছি। বাড়ি আইছি পরে বাড়ি-ঘরের কোন চিহৃ কিছু নেই। নদীর পাড় ও বাড়ি এই গ্রামে।
নদীর ওখানে, অফদার পানি আস্তে আস্তে ছিটকে সড়কের উপর দিয়ে ছুইটা চইলা আইছে। তারপর আমরা ভাবছি সিডর এর চেয়ে বেশী কিছু (প্রবল ও ক্ষতিকর ) হয়ে যাবে। এমন স্রোত আর কোন সময় দেখা যায়নি। সিডরের সময় অনেকের বাড়ী চলে গেছি, আবার অনেকের বাড়িঘর ভালো আছে, কেউ আবার গাছে ছিল, কেউ আবার সাইক্নোন সেন্টারে গেছে। যদি পানি বেশি হয় এই ভয়ে, মনে হয়ছে এই বুঝি শেষ। পানি তুফানের মত একবারে গড়াইতে গড়াইতে আইছে। উচু হয়ে সমতল ভাবে আইছে। গাছপালা বাড়ি-ঘর, ভাইঙ্গা গেছে। সমতল ভাবে স্রোত চালাইতে চালাইতে আইছে। মনে করছিলাম যে, এর চেয়ে আর বেশি পানি হবে! কিন্তু না, দেহি যে স্রোতটা আর পানি একটু একটু কমছে।
সিওডর দিনের বেলা হইছে, তাই অনেকে সাইরা যাইতে পারছে। আর ওইটা ( আইলা ) তো রাএে হইছে তাই কেউ সাইরা যাইতে পারে নাই । অনেক মানুষ মারা গেছে। ওইটা এক মিনিটে অনেক উচু পানি হইছে। সিডর যে অইছে, তাতে েনানাপানিতে যা গাছ-গাছলা ছিলো সব মারা গেছে। আগে দুই-চারটা ডাব খাবার খাইতে পারতাম । আমাদের এই এলাকায় কৃষি আবাদ কম েগছে। প্রথম সকালে সূর্যে উঠলে যেরকম দেখায়, ওইরকম অনেকে নদীতে আগুনের মতো জ্বলতে দেখা গেছে। অনেকে ভেবেছিল , দুনিয়া বুঝি এই শেষ হয়ে গেল। কিন্তু আল্লা এখনো বাচাইয়া রাখছে।